Responsive Ads Here

Wednesday, February 13, 2019

Unknown Fishes In Bangladesh

 বাংলাদেশের অপরিচিত কিছু মাছের পরিচিতি :::
বাংলাদেশ যেহেতু নদীমার্তৃক দেশ, সুতরাং এদেশের নদী, খাল, বিল, হাওর, বাওর সহ সব ধরনের জলাভূমিতে মাছের একটা সমারোহ থাকে সব সময়। এদেশের প্রত্যেকটা জলাশয়ে রয়েছে অসংখ্য মাছ যেমন রুই, কাতলা্, মৃগেল শোল, টাকি, কই, আইর, ভেটকি, পাতাড়ি, টেংরা, পারশে, বাগদা চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, পুঁটি মাছ সহ নাম না জানা হাজারও মাছ। তবে আমাদের দেশে এত এত মাছ আছে কিন্তু আমরা অনেকেই এইসব মাছের নামও জানি না আবার অনেক মাছ চিনিও না। আজকে বেশ কিছু মাছের নাম ও বর্ণনা তুলে আনলাম আপনাদের জন্য, দেখুন তো এই মাছ গুলো চেনেন কিনা।

এই পুঁটি মাছ সাধারণ পুঁটি মাছ থেকে ছোট এবং 1.5 থেকে 2.5 ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এরা খুব চটপটে আর সবসময় ওঠানামা করতে থাকে। এদের বর্ণ ময়লা সাদা, লেজের গোড়া থেকে সামান্য ভেতরে এক ধরনের কালো এলাকা দেখা যায়।

এই পুঁটি মনে হয় সবচেয়ে ছোট আকারের পুঁটি মাছ। এরা 1.5 থেকে 2 ইঞ্চি লম্বা হয়। রুপালী রঙের দেহে দুটি কালো রঙের ফোঁটা থাকে। সাধারণত খাল, বিল, নদীনালা পুকুরে এই মাছ দেখা যায়।

এই মাছ গুলো ছোট আকারের হয়ে থাকে। সাধারণত 2 থেকে 4 ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এইগুলো উপরের স্তরের খাদক এবং শুককীট নাশক হিসেবে পরিগণিত আর এই মাছ গুলো সাধারণত নদী, বিল ও বন্যা প্লাবিত অঞ্চলে পাওয়া যায়।

এই মাছ খুবই নরম প্রকৃতির কিন্তু অনেক সুস্বাদু মাছ। এই মাছ কিছুটা চোঙা আকৃতির হয়ে থাকে। মাথার প্রায় পিছন দিকের কাছাকাছি চক্ষুযুক্ত মাছটি হলুদাভ-ধূসর বর্ণ বিশিষ্ট এবং প্রায় হাড় বিহীন এবং মোলায়েম। এটি বিভিন্ন শ্রেণীর শৈবাল থেকে শুরু করে ছোট ছোট পোকা মাকড় ও মাছকে খাদ্য হিসেবে খায়। এই মাছ স্বাদু ও লোনা উভয় ধরনের পানিতে দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই মাছ সাদু পানি থেকে লোনা পানিতে গিয়ে ডিম পাড়ে। 

এই মাছ অনেক সুস্বাদু। সাধারণত বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এরা বাউশ, কালাঘনি, কালবাসু ইত্যাদি নামেও পরিচিত। কালচে দেহ ও ছোট নিম্মমুখী মুখ এদের বিশেষ বৈশিষ্ট। তাই মৃগেল মাছের মত এরাও পুকুরের নিচের এলাকার খাদ্য গ্রহন করে। খাল, বিল, নদী নালা পুকুর সহ সব ধরনের জলাশয়ে পাওয়া যায়।

এই মাছ গুলি দেখতে ছোট আকারের একটা ইলিশ মাছের মত এরা 4 থেকে 5 ইঞ্চির মত লম্বা হয়ে থাকে। রুপালী রং বিশিষ্ট মাছের ঘাড় ও পিঠ কালো বিশিষ্ট হয়। তবে লেজ দ্বিধাবিভক্ত হয়। এই মাছ প্রধানত নদীর মাছ তবে বর্ষা কালে খালে বিলে পাওয়া যায়। আর এরা সাধারনত পানির উপরের স্তরের দিকে থাকে।

চান্দা মাছ অনেকটা গোল আকৃতির এবং সূক্ষ্ম আঁইশ যুক্ত। মাছের দুই পাশ উজ্জল রুপালী রঙের। এরা পরিষ্কার পানিতে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। খাল, বিল, নদী নালা সহ সব ধরনের জলাশয়ে এই মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এরা প্রায় 2 ইঞ্চি মত লম্বা হয়ে থাকে। দেহের রং হলুদাভ সাদা। এরা দিনে ১২০ টার মত মশার শুককীট ও মূককীট খেতে পারে। 

এই মাছ প্রায় অনেকের কাছে একদম অপরিচিত মাছ। কারণ এই মাছ সব জায়গায় দেখেতে পাওয়া যায় না। ৬ ইঞ্চির মত লম্বা এই মাছের পিঠের পাখনা দেহের উচ্চতা থেকে দীর্ঘ হয়ে থাকে। এরা হালকা ধূসর বর্ণের হয়। বক্ষদেশে কাঁটা থাকে। কাঁটার ভিতরের দিকে খাঁজ কাটা থাকে।

এই মাছ আঁইশ বিহীন মাছ। এরা সাধরাণত এক ফুট মত লম্বা হয়ে থাকে। মিঠা পানি ও সমুদ্র তীরবর্তী লোনা পানিতে এরা জন্মে। সেই কারণে সারা বাংলাদেশে এই মাছ প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত এদের থেকে ছোট ছোট মাছ এবং বিভিন্ন জলজ পোকা মাকড় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

এই মাছ কাবাশী ট্যাংরা নামেও পরিচিত অনেক এলাকায়। কারণ এরা দেখতে অনেকটা ট্যাংরা মাছের মতই। এদের পেটের দিকটা হলুদাভ হয়ে থাকে। খেতে অনেক সুস্বাদু এই মাছ বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়।

এই মাছ দেখতে অনেক চিকন প্রকৃতির। এর প্রধান বৈশিষ্ট হলো এদের দীর্ঘ চোঙার মত দেহ এবং মাছের উভয় চোয়ালের অতি দীর্ঘকার ঠোঁট ও তাতে তীক্ষ্ম দাঁত রয়েছে। খাল, বিল, নদী নালার পঁচা পানিতেও এরা বাস করে। এর পিঠের দিকটা কালচে ধুসর এবং বুকের দিকটা সাদা রঙের হং। এদের স্বভাব পেটুক ধরনের আর এরা ক্ষুদ্রাকার মাছে খেয়ে থাকে।
এছাড়াও তো আছে অসংখ্য প্রজাতির মাছ। যে সব মাছের বর্ণনা পরে নিয়ে আসব। আপনারা মাছ ধরতে পছন্দ করেন কে কে ?? মাছ ধরা অনেকের শখ থাকে। আবার মাছ ধরা দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। আপনি যদি মাছ ধরা পছন্দ করেন বা মাছ ধরা দেখতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য খুব সুন্দর একটা মাছ ধরা ভিডিও শেয়ার করলাম এখানে। আশাকরি ভিডিও টা সম্পূর্ণ দেখবেন আর ভিডিওর কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক মাছ ধরার ভিডিওটা। Fish Catching

          

No comments:

Post a Comment